এবার বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন। তিনি পদত্যাগপত্র দিয়েছেন কি দেন নাই, এখন শুরু হয়েছে সেই বির্তক। যদি পদত্যাগ পত্র না দিয়ে থাকেন, তাহলে দেশকে অরক্ষিত রেখে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারকে কলঙ্কিত করার কারণে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় তার মৃত্যুদণ্ড চাই।’
গতকাল বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে ভোলা জেলা পরিষদ চত্বরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জেলা শাখা আয়োজিত জনশক্তি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মামুনুল হক বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীতে শেখ হাসিনার মতো ভীরু কোনো নেতা নেই। এমনভাবে তিনি দেশ ছেড়ে পালালেন, কোনো নেতার কথাও ভাবেন নাই। ভেবেছেন শুধু পরিবারের কথা।’
মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক বলেন, ‘১৬টা লাগেজ নিয়ে হেলিকপ্টারে উঠে যাদের পক্ষে এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও বাংলাদেশকে বিভক্ত করার জন্য ইজারা দিয়ে আরেকটি দেশের অঙ্গরাজ্যে পরিণত করার রাজনীতি করেছিলেন তিনি। যাদের সেবা দাসী ছিলেন তাদের কাছেই তিনি আশ্রয় নিলেন। এরপরও আওয়ামী লীগের লোকেরা কোন মুখে নেত্রীর কথা বলেন? যদি নূন্যতম লজ্জা থাকত তাহলে অনন্ত শেখ হাসিনার কথা উচ্চারণ করতে পারতেন না। অথচ ক্ষমতা ছাড়ার ৫ দিন আগেও বলেছেন শেখ হাসিনা পালান না।’
তিনি বলেন, ‘বাংলার হাজার বছরের ইতিহাসে একবার গৌর গোবিন্দ পালিয়েছিল। হাজার বছর পরে আরেকবার শেখ হাসিনা পালাল। আর কোনো নেতা এভাবে দেশ ছেড়ে, দল ছেড়ে পালান নাই। শেখ হাসিনা এসেছিলেন এ দেশটাকে ধ্বংস করার জন্যই।’
মো. মামুনুল হক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলব ক্ষমতার মসনদকে শেখ হাসিনার মতো বাপ-দাদার তালুক মনে করবেন না। এটাকে জনগণের পক্ষ থেকে প্রদত্ত আমানত মনে করেন। জনগণ আপনাদের এখনও ভালোবাসে, আপনাদের ওপর আস্থা রেখেছে। যে কোনো সংকটে এদেশের আলেম সমাজসহ জনগণ আপনাদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য রাজপথে নেমে আসতে প্রস্তুত রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সংকট মোকাবেলায় আপনারা কোনো পক্ষকে অবহেলা করবেন না। সবাইকে কাছে টেনে নিন। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে মতামত গ্রহণ করুন। দ্রুত রোডম্যাপ প্রকাশ করুন।’